আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কোথাও জঙ্গি আস্তানা গড়ে উঠছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে :এসপি হারুন

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেছেন, ১ মে আপনাদের অধিকার আদায়ের দিন। আপনারা ভাববেন না যে আজকে এসপি ডিসি নেতারা আসলো আর বক্তব্য দিয়ে চলে গেলো আর সব শেষ তা কিন্তু নয়। আপনাদের দাবি আদায়ে সচেষ্ট থাকতে হবে। তাতে পুলিশ বাহীনি আপনাদের সহযোগিতা করবে। আপনাদের পাশে থাকবে। আর এ জন্য আপনাদেরকেও সহযোগিতা করতে হবে। আপনাদের বাড়ির আশেপাশে নজর রাখতে হবে। কোথাও জঙ্গি আস্তানা গড়ে উঠছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাদব ব্যবসায়ীদের তথ্য দিয়ে তাদেরকে ধরতে সহযোগিতা করতে হবে। সবার একত্রে কাজ করলেই আমাদের দেশ সোনার দেশে পরিণত হবে।

মহান মে দিবস ২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় শ্রম দপ্তর নারায়ণগঞ্জ এর আয়োজনে ও জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসপি বলেন, শ্রমিকরা আছে বলেই আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। আপনারা যদি না আসেন কাজ না করেন তাহলে প্রতিষ্ঠান চলবে না। শ্রমিকদের ঘামের টাকায় গড়ে উঠেছে আমাদের এই দেশ। আমি যখন গাজিপুরে ছিলাম আমি দেখেছি কত কষ্ট করে তাদের কাজ করতে হয়। আমি নিজ চোখে দেখেছি।

নারায়ণগঞ্জ পলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, আমি গ্রামের মানুষ। নারায়ণগঞ্জের অনেক জায়গাতেও আমি আমার গ্রামের মানুষকে দেখেছি। তাদের জীবন যাত্রার মান আমি দেখি। কিন্তু তার পরেও বলতে হয় আমাদের বেকারত্ব দুর হয়েছে। কারণ একসময় হাওড় অঞ্চলে মানুষেরা বসে থাকতো তাদের হাতে কাজ ছিল না। কন্তিু এখন ৫০০টাক ৮০০টাকা মজুরি দিয়েও হাওড় অঞ্চলে শ্রমিক পাওয়া যায় না। এতেই বুঝা যায় দেশে বেকারত্বেরহ হার কমেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ৮০ভাগ মানুষ হচ্ছে শ্রমিক। একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়ন তখনি হবে যখন সকল শ্রেনির মানুষের উন্নয়ন এবং তাদের জীবনযাত্রার মান সমান হবে। এবং সেই লক্ষেই কাজ করছে বর্তমান সরকার। সেই লক্ষ্যে আপনাদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা গুজবে কান দিবেন না। কোনো সমস্যা হলে আলাচনায় আসুন। যারা গুজব ছড়ায় তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদেরকে বর্জন করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমেই সবকিছুর সমাধান করতে হবে। এখানে আমাদের ঝগড়া করার সময় নয়। পুলিশের গাড়ি ভাংচুড় করার সময় নয়। দেশ যেভাবে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এটা আপনাদের অবদান। এখন সময় এসেছে সবার ঐক্য হয়ে কাজ কারর। বাংলাদেশে গুটি কয়েক মানুষ যারা বাংলাদেশের উন্নয়নের বাধা সৃষ্টির জন্য কাজ করাছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। তারা আপানাদের হাতে ইয়াবা তুলে দিবে বিভিন্ন মাদক তুলে দিবে। গুজব ছড়াবে। তাদের গুজবে কান দিবেন না। তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিন। সবাই এক সাথে কাজ করলে কোনো সমস্যা যে হবে না তার প্রমাণ হচ্ছে আজকে এখানে শ্রমিক, মালিক সবাই এক হতে পেরেছি।

রেজিস্ট্রার্ড অব ট্রেড ইউনিয়নের পরিচালক খোরশেদুল হক ভূঞার সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা, এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রথম ভাইস প্রেসিডে› মোহাম্মদ হাতেম, চেম্বার্স অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোরশেদ সারোয়ার সোহেল।